এম জে রতন, লালমনিরহাট থেকেঃ প্রায় ৮০ বিঘা জমির আমন ধানের ফসল চাষাবাদে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ,লমনিরহাটে পানি নিষ্কাশন নালা বন্ধ করায় ।এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ঘন বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো বন্ধ করে দেয়ায়,বিপাকে কৃষকরা পড়েছেন পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে না পারায় । ফসল বাঁচাতে নিরুপায় কৃষকরা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের বটতলা বাজারে পূর্ব পাশ মকড়া ঢঢগাছ.হইতে নূরানী বাজার পর্যন্ত গ্রামটি কিছুটা নিচু এলাকা। গ্রামটির ৯০ ভাগ মানুষ নির্ভরশীল কৃষি কাজের উপর । এবার চলতি আমন মৌসুমে প্রায় আমন ধানের চারা লাগিয়েছেন ৮০ বিঘা জমিতে কৃষকরা।
কিন্তু ঘন বৃষ্টির কারণে মাটি দিয়ে ভরাট করার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নিচু এলাকা (মকড়া ঢঢগাছ) পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো । ফলে প্রায় ৮০ বিঘা জমিতে পানির নিচে রয়েছে কৃষকদের আমন ধানের চারা আজ কদিন ধরে । বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। পানি নিস্কাশনের অভাবে দিন দিন আমন ধানের চারাগুলো পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছ। ফসল বাঁচাতে তারা কোন কুলকিনারা পাচ্ছে না।
নিরুপায় হয়ে ভুক্তভোগী কৃষক ও গ্রামবাসী স্থানীয় জনপ্রতিনিধির শরণাপন্ন হয়েও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে পারেনি। ফলে তারা (১৬ আগষ্ট) সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর আবেদন করেছেন।
রোববার (২৯ আগস্ট) সদর উপজেলার কৃষি অফিসার ও মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বসুনিয়া স্বপন সরেজমিনে গিয়ে পরির্দশন করেছেন। জলাবদ্ধতা এলাকা
পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো মাটি দিয়ে ভরাট করার কারণে ,মকড়া ঢঢগাছ গ্রামের আমন চাষী খলিলুর রহমান মাষ্টার বলেন জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। আজ কদিন ধরে পানির নিচে রয়েছে এলাকার আমন ক্ষেত।মকড়া ঢঢগাছ গ্রামের আমন চাষী জীবন রায় বলেন পানি নিস্কাশনের অভাবে দিন দিন আমন ধানের চারাগুলো পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছ।
পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো বন্ধ রাখায় অনেক ফসল নষ্ট হয়েছে। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের নালাগুলো খুলে দেয়া না হলে এবার এলাকার আমন ফসল পানি খেয়ে ফেলবে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুবেল রানা বলেন, ‘জলাবদ্ধতার বিষয়ে শুনেছিছ, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধানের জন্য । তাছাড়াও খোঁজ খবর নিচ্ছি স্থানীয় ভাবে ও স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা করছি।
Leave a Reply